[vc_row][vc_column][vc_column_text]
https://paisainvest.in/new: আয়কর রিটার্ন সম্পর্কে আমরা অনেক তথ্য শুনে থাকি বিগত অনেক বছর ধরে । আমাদের ভারত সরকার অনেকরকম অদল বদল করেন এক্ষেত্রে। কিন্তু এই বছর ভারত সরকার এই আয়কর রিটার্নের ফর্ম এ অনেকগুলি পরিবর্তন এনেছেন ; যেটা একজন সাধারণ মানুষের কাছে করাটা খুবই কঠিন সেটিকে পূর্ণ করার জন্য তাই আমাদেরকে একজন ট্যাক্স বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে । তা না হলে নিজে নিজে ফরমটি পূরণ করা সম্ভব নয়।
▪︎ প্রথমেই আমরা জেনে নিই আয়কর রিটার্ন কি ? এই আয়কর রিটার্ন হলো আমাদের ভারতবর্ষে ছোট থেকে বড় অনেক চাকুরীজীবির এবং ব্যবসায়ী থাকেন তাদেরকে কিছু না কিছু খাজনা দিতে হয় । এই খাজনা দেওয়ার যে ব্যাপারটি সেটি হলো আয়কর রিটার্ন । বর্তমানে আয়করের অনেকগুলি ফ্রম আছে মোট সাতটি ফরম এখনো পর্যন্ত ভারত সরকার বের করেছেন । সেখানে প্রতি বৎসর কিছু না কিছু বদল থাকে। এখানে আমাদেরকে অনলাইন মারফতে সমস্ত ফরম পূরণ করে জমা করতে
▪︎ ই ফিলিং :পুরো কথায় ইলেকট্রনিক ফাইলিং বা সরাসরি নেটে রিটার্ন জমা দেওয়া। এ বার এর পরিধি বাড়ানো হয়েছে। আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে অথবা কর ফেরতের (রিফান্ড) ব্যাপার থাকলে এবং আইটিআর-৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭-এর ক্ষেত্রে ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক। তবে কারও বয়স ৮০ বছরের বেশি হলে এবং তিনি আইটিআর-১ অথবা ২ ফাইল করলে, তাঁর ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।আয় ৫ লক্ষ টাকা বা তার নীচে হলে এবং কর ফেরতের (রিফান্ড) ব্যাপার না-থাকলে, ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু রিফান্ডের বিষয়টি থাকলে, আয় যা-ই হোক, ই-ফাইলিং করতে হবে। প্রস্তাব আছে, রিফান্ডের টাকা সরাসরি অ্যাকাউন্টেই পাঠানো হবে। আগের মতো চেক মারফত আর দেওয়া হবে না।করদাতার আধার কার্ড থাকলে, ই-ফাইলিংয়ের পরে সেটির পরীক্ষা (ভেরিফিকেশন) মোবাইলে আসা ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ (ওটিপি) ব্যবহার করে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতেই করা যাবে। সই করা রিটার্ন পরীক্ষার জন্য আর আয়কর দফতরের বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় প্রসেসিং সেলে (সিপিসি) স্পিড পোস্ট মারফত পাঠানোর প্রয়োজন হবে না। ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, আধার নম্বর, এটিএম এবং ই-মেল মারফত এই সুবিধা নেওয়া যাবে।আয় পাঁচ লক্ষ টাকা বা তার নীচে হলে এবং কর ফেরতের (রিফান্ড) ব্যাপার না-থাকলে, ই-ফাইলিংয়ের পরে সেটির পরীক্ষা (ভেরিফিকেশন) ই-মেল এবং মোবাইল ব্যবহার করেই করা যাবে। তবে এই সুবিধা শর্তসাপেক্ষ। গ্রাহকের কর জমা বা রিটার্ন নিয়ে প্রশ্ন থাকলে, ভেরিফিকেশনের অনুমতি না-ও দিতে পারে আয়কর দফতর।
▪︎এই বছর আমাদের ভারত বর্ষ তথা পৃথিবীর জন্য খুবই অর্থনৈতিক দিক থেকে খারাপ সময় চলছে তাই ভারত সরকার পরিবর্তন করেছেন সেটি হলউল্লেখ্য, বর্তমানে আয়করের দু’ধরনের নিয়ম চালু রয়েছে। একটিতে ৮০সি ধারা-সহ আয়কর আইনের বিভিন্ন ধারায় ছাড় নিলে, বেশি হারে কর দিতে হয়। অন্যটিতে ছাড় ত্যাগ করলে দিতে হয় কম হারে কর। এ ক্ষেত্রে বার্ষিক করযোগ্য আয় ২.৫ লক্ষ পর্যন্ত হলে কর দিতে হবে না। ২.৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষের মধ্যে আয় হলে ৫% এবং ৫ লক্ষ থেকে ৭.৫ লক্ষে ১০% কর দিতে হবে। ৭.৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষের ক্ষেত্রে তা ১৫%। ১০-১২.৫ লক্ষে ওই হার ২০%। আর ১২.৫-১৫ লক্ষ আয়ের ক্ষেত্রে কর বসবে ২৫%। তার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে ৩০%।সেই সঙ্গে কর ফাঁকি আটকাতে রয়েছে আইটিআর-১, ২, ৩ ও ৪ ফর্মে তিন প্রশ্নের নতুন দাওয়াই। সংশ্লিষ্ট অর্থবর্ষে আয়করদাতা ব্যাঙ্কের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকার বেশি জমা দিয়েছেন কি না। বিদেশ সফরে ২ লক্ষের বেশি খরচ করেছেন কি না। ১ লক্ষের বেশি বিদ্যুৎ বিল দিয়েছেন কি না। ফর্মে এগুলির জবাব দিতেই হবে। আর একটিরও উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে রিটার্ন জমা দিতেই হবে। এত দিন না-দিলেও।
▪︎নতুন নিয়মাবলি ভেরিফিকেশন বা পরীক্ষা, পুরানো ৫ বছরের ফর্ম গুলির জন্য :
আয়কর রিটার্ন ফর্ম কিছু নিয়ম এনেছে এই বছর থাকে ,সেই নিয়মগুলি আমাদেরকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
১)যেখানে বলা হয়েছে আপনাদের পুরনো কমপ্লিট না করা ফর্ম ,সেগুলিকে ভেরিফিকেশন করতে হবে একশো কুড়ি দিনের মধ্যে অর্থাৎ এবছর সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। এই সময় বাড়ানো হয়েছে এবার আপনার এই পুরনো আয়কর রিটার্ন ফর্ম গুলিকে কিভাবে আপনি ভেরিফিকেশন করবেন সেটি সম্পর্কে বিশদে জানুন । যদি আপনি আপনার পুরনো ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফর্ম গুলিকে ভেরিফাই না করে থাকেন তাহলে এখন সুযোগ আছে আপনার সেগুলিকে ভেরিফাই করার এবং তার সাথে পুরো ব্যাপারটা আপনাকে পূরণ করতে আইটিআর ৫ এবং পূরণ করে জমা দিতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
২)যদি এই নিয়মাবলী না মানা হয় তবে ভারত সরকার আপনার আইটিআর এর সমস্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেবেন। তাছাড়া অনেক ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি আছে যারা এখনো পর্যন্ত কোনো রকম কোনো পুরোনো আইটিআর ফর্ম ভেরিফিকেশন এবং নতুন আইটিআই পূরণ করে জমা দেননি; তাদেরকে সমস্ত কিছু পূরণ করতে হবে ।অনেকেই আছেন যারা আইটিআর ফর্ম ২০১৫-১৬,২০১৬-১৭,২০১৭-১৮ , ২০১৮-২০১৯ এবং ২০১৯-২০ এখনো পর্যন্ত ভেরিফিকেশন করেননি তাদের কাছে এখন অসুবিধা আছে সেগুলি পূরণ করার।
৩) যারা ফর্মটা ফিলাপ করে নিয়েছেন কিন্তু ভেরিফাই করেননি , তাদের হাতেও সেপ্টেম্বর ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। ওটাকে ভেরিফাই না তাদের আইটিআর ফর্মিটি বাতিল করে দেওয়া হবে ।
৪) যদি কেউ আইটিআরয়ের ফরম অনলাইনে স্বাক্ষর বা ডিজিটাল স্বাক্ষর না করে থাকেন , তবে তাকে তার আধার কার্ড নম্বর বা নেট ব্যাঙ্কিং না হলে ইলেকট্রনিক্স ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে করতে হবে।তা না হলে যে পেপারটি আছে সেটিকে আবার প্রিন্ট করে এবং নিজের স্বাক্ষর করে সেটিকে পাঠিয়ে দিতে হবে ব্যাঙ্গালোরে অফিসে ইত্যাদির মারফতে সেটিকে পূরণ করতে হবে।
৫) আবার অনেকের কান্ড রিফান্ড পলিসি থাকে , সে ক্ষেত্রে সরকার সুযোগ দিয়েছে 31 শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পূরণ করার যদি সে ফর্ম পূরণ না করে সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ এর মধ্যে।
সুতরাং আপনাদের হাতে এখনো অনেক সময় আছে ফোনটিকে ফরমটি পূরণ করার জন্য আপনারা অবশ্যই একজন ট্যাক্স বিশেষজ্ঞ এর সাহায্য নিন এবং যিনি আপনাদেরকে এই ধরনের ফর্মটি পূরণ করতে সাহায্য করবেন। সেজন্য আপনারা অবশ্যই যোগাযোগ করুন https://paisainvest.in/new নামক এই ওয়েবসাইটে।
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]